কে ঐ শোনাল মোরে আজানের ধ্বনি মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সুমধুর আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধমনী কি মধুর আজানের ধ্বনি।
“পড়ে নাকি মনে সেই অতীত গৌরব?
সুদূর আরব ভূমে যে বীর জাতি
মধ্যাহ্ন মার্তন্ড প্রায় প্রচন্ড বিক্রমে
যাইত ছুটিয়া কত দেশ দেশান্তরে
আফ্রিকার মরুভূমে বালুকা প্রান্তরে
বিসর্জিয়া আত্মপ্রাণ কেমন বিক্রমে
স্থাপিয়াছে ধর্মরাজ্য ‘আল্লা’ ‘আল্লা’ রবে
আজিও ধ্বনিত সেই নীলনদ তীরে।”
কবিতা
প্রণয়ের প্রথম চুম্বন
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন! যবে তুমি মুক্ত কেশে ফুলরাণী বেশে এসে, করেছিলে মোরে প্রিয় স্নেহ-আলিঙ্গন! মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন?
দেশের বাণী
কে আর বুঝিবে হায় এ দেশের বাণী? এ দেশের লোক যারা, সকলইতো গেছে মারা, আছে শুধু কতগুলি শৃগাল শকুনি! সে কথা ভাবিতে হায় এ প্রাণ ফেটে যায়,
আযান
কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি। মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী। কি মধুর আযানের ধ্বনি! আমি তো পাগল হয়ে সে মধুর তানে,
সায়াহ্নে
হে পান্থ, কোথায় যাও কোন দূরদেশে কার আশে? সে কি তোমা করিছে আহŸান? সম্মুখে তামসী নিশা রাক্ষসীর বেশে শোন না কি চারিদিকে মরণের তান!
কাব্যগ্রন্থ
মহাশ্মশান
অতি অল্পবয়স থেকে কায়কোবাদের সাহিত্য-প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ (১৮৭০) প্রকাশিত হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
১৯৩২ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের মূল অধিবেশনে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলা কাব্যসাহিত্যে অসাধারণ অবদানের জন্য নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ তাঁকে ‘কাব্যভূষণ’, ‘বিদ্যাভূষণ ও‘সাহিত্যরত’ (১৯২৫) উপাধিতে ভূষিত করে। বাংলাদেশ সরকার তার সম্মানে ১৯৯১ সালে ৬ টকা মূল্যমানের ডাকটিকিট প্রকাশ করে।