"তিনি আমার তিনি আমাদের তিনি সবার তিনি বাংলার, তিনি বিশ্বের তিনি আর কেউ নন, তিনি মহাকবি কায়কোবাদ"
‘কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিলো কি সুমধুর, আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনি । কি-মধুর আযানের ধ্বণি' । কবিতার এই পংক্তিগুলো পড়লেই মনে পড়ে যায় বাঙ্গালির অনন্য সাহিত্যরত্ন মহাকবি কায়কোবাদের কথা। আযান নামের এই মহাকবিতা ও মহাকাব্য মহাশ্মশান যার অনবদ্য সৃষ্টি। বাংলা সাহিত্যে যার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলার একমাত্র মহাকবির সকল সাহিত্য কর্ম এবং মহাকবির অনেক অনেক তথ্য আজ প্রায় বিলীন হতে চলেছে। ২০২৪ সালে এসে আজকের নতুন প্রজন্মতো বটেই অনেক পুরনোরাও ভুলে যেতে বসেছেন এই মহাকবিকে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক ।
যেহেতু আমি একজন মিডিয়া কর্মী তাই এই বিষয়টা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলে। তাহলে কি কালের গর্বে হারিয়ে যাবে আমাদের একমাত্র মহাকবি? হারিয়ে যাবে তাঁর সমগ্র ইতিহাস? আগামী প্রজন্ম কি জানতে পারবে না মহাকবি কায়কোবাদের সৃষ্ট কর্মকে? না, তা হতে দেয়া যায় না। যেই ভাবা, সেই কাজ। আমি নেমে পড়ি মহাকবির বিলীন হতে চলা সব রকমের তথ্যের অন্বেষণে। গত প্রায় ৫ বছর ধরে চলতে থাকে আমার এই কর্মযজ্ঞ। অবশেষে আমি পৌছাতে সক্ষম হই সফলতার চূঁড়ায় ।
মহাকবি কায়কোবাদ একটি নাম, একটি ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যে মহাকবির অবদান অনস্বীকার্য। বাংলার এই মহাকবির জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা ইউনিয়নের আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে। দেশের সচেতন নাগরিক হয়ে আমরা এই মহাকবির কর্মযজ্ঞ এবং কবির জীবনধারাকে ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করি। তিনি যে শুধু বাংলার কবি তা নয়, তিনি তো বিশ্বের কবি। তাইতো তাঁর সমগ্র জীবনের কর্মধারাকে ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে মহাকবিকে নিয়ে এই ওয়েবসাইট kaikobad.com
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই উদ্যোগ একটু হলেও অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যুগ থেকে যুগান্তরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহাকবির সমগ্র কর্মকান্ড ধরে রাখতে ওয়েবসাইটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই ওয়েবসাইটটির সফল বাস্তবায়নের পর আমরা আশা করছি কায়কোবাদ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে। পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রকমের কর্মকান্ডও পরিচালিত করবো যেমন— মাসিক / ত্রৈমাসিক সভ-সেমিনার, রোড শো, বই মেলা, ফ্রি হেলথ কেয়ার ক্যাম্প, গুণীজন সম্মাননা সহ নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড।
আমাদের এই পথ চলায় আপনার/আপনাদের সব রকমের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাশা করছি। আসুন সকলে মিলে মহাকবি কায়কোবাদকে তুলে ধরি বিশ্বের সামনে।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, ওয়েব সাইটের পাশাপাশি গুগল প্লে স্টোরেও সাইটটির একটি এন্ড্রয়েড এপ আপ করা হবে। যাতে যেকোনো পাঠক খুব সহজেই তার স্মার্ট ফোন থেকে এপটি ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারবেন কবিকে।